পরীক্ষা ভীতি দূর করার উপায়

পরীক্ষা ভীতি দূর করার উপায় কি কি?
উঃ নিম্নোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করে পরীক্ষা ভীতি দূর করা যায়ঃ
১। যত দ্রুত সম্ভব পুনরালোচনা শুরু করাঃ যে সব শিক্ষার্থী যত দ্রুত পুনরালোচনা শুরু করে তারা কোন চাপ ছাড়াই উত্তর দিতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রায়ই দ্রুত পুনরালোচনা শুরু করতে উপদেশ দেয়া হয় কারন অনুশীলন ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
২। নিজস্ব সময়সূচী তৈরী করাঃ একজন শিক্ষার্থী যে সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।এটা নম্বরের জন্য নয় বরং একজন শিক্ষার্থীকে বিষয় সংশ্লিষ্ট গভীর জ্ঞান থাকতে হবে।শিক্ষার্থী সপ্তাহের ৭ দিনের জন্য নিজস্ব সময়সূচী তৈরী করে নেয়া উচিত।
৩। বিষয়ের সংমিশ্রণ নিশ্চিত করাঃ সময়সূচী তৈরী করার সময়ে, সর্বোত্তম হল একটি বিষয় সকালে এবং বিকালে আরেকটি বিষয় পড়া। বারবার একই বিষয় পড়লে বিরক্তি চলে আসতে পারে।
৪। দৈনিক লক্ষ্য নির্ধারণ করাঃ লক্ষ্য ছাড়া জীবনে কোন কিছু অর্জনের উপায় নেই।এমনকি দৈনিক লক্ষ্য নির্ধারণ করাটাও গুরুত্বপূর্ন।একজন শিক্ষার্থী পুনরালোচনা করার জন্য যেসব বিষয় বা অধ্যায়
নির্ধারণ করেছে সেগুলো দিন ভিত্তিক ভাগ করে নিতে হবে।
৫। বিরতির জন্য সময় বরাদ্দ রাখাঃ একজন ছাত্রকে কিছু ব্যক্তিগত কাজ করতে হয় যেমনঃ কাপড় পরিষ্কার করা, ঘর পরিষ্কার করা।এসব কাজ বিরতি হিসেবে বিবেচিত হয়।তারপর একজন ছাত্রকে রাতের খাবার,দুপুরের খাবার,নাস্তার জন্য সময় দিতে হয়।
৬। ভালভাবে ঘুমানোঃ প্রত্যেক ব্যক্তিকে দৈনিক কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হয় কারণ পরিমিত ঘুম শারীরিক ও মানসিকভাবে ঠিক রাখে।একজন শিক্ষার্থী ঘুমের সাথে সমঝোতা করা উচিত নয়।
৭। পরিমিত খাবারঃ শিক্ষার্থীদের সবসময় পরিমিত খাবার গ্রহণ করা উচিত।তাদেরকে প্রায়ই দেখা যায় যে পরীক্ষার সময় তারা খাবার অথবা নাস্তা এড়িয়ে যেতে চায় জা অনেক বড় ভুল কারণ এতে মস্তিষ্ক গুরুত্বপূর্ন পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়।
৮। পড়ার সময় ঠিক করে নেয়াঃ শিক্ষার্থী নিজেই পড়ার সময়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কারণ এটা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়।
৯। বিনোদনঃ খেলাধুলা বিনোদনের একটি মাধ্যম।ক্রিকেট,ফুটবল,টেনিস ইত্যাদি খেলা এবং সাইকেল চালানো শরীর ভাল রাখার পাশাপাশি বিনোদনেরও উৎস।টিভি দেখা, হাটতে যাওয়া,ব্যায়ামাগারে যাওয়া,বাগান করা, ঘরের অন্যান্য কাজ করা মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে সতেজ করে। .
উপরোক্ত পদ্ধতিসমূহ অনুসরণ করলে পরীক্ষা ভীতি দূর করা যাবে বলে আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *